রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:১৯ অপরাহ্ন
আবুল কাশেম- সিলেট জেলা প্রতিনিধিঃ
সিলেটের বিশ্বনাথে কাটাকাটির জের ধরে মাওলানা আব্দুল হাই জেহাদী ও তার স্ত্রীর উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনাটি ঘটেছে।
এতে স্বামী-স্ত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) রাতে বিশ্বনাথ উপজেলার খাজাষ্ণি ইউনিয়নের কান্দিগাও গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে।
ঘটনার পর গুরুতর আহত অবস্থায় তাদেরকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মাওলানা জেহাদীর শারীরিক অবস্থা আশঙ্কামুক্ত হলেও তার স্ত্রীর অবস্থা আশঙ্কামুক্ত নয় বলে জানিয়েছে কর্মরত চিকিৎসক।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার মাগরিবের নামাজের পর কান্দিগাও গ্রামের তাদের প্রতিবেশী বদরুল ও তার তিন ভাই, পাশের ঘরে তার খালাতো ও মামাতো ভাই এবং খালু মিলে হঠাৎ মাওলানা জেহাদির ঘরে এসে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও দরজা জানালায় ভাংচুর চালায়।
তখন মাওলানা আব্দুল হাই জেহাদী ঘর থেকে বেরিয়ে কিছু বুঝার আগেই সন্ত্রাসীরা তাদের হাতে থাকা রড, লোহার পাইপ দিয়ে উপুর্যপুরী আঘাত করে মাটিতে ফেলে দেয়।
এসময় মাওলানা জেহাদিকে হামলা থেকে রক্ষা করতে তাঁর স্ত্রী এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা লোহার রড, কাঠের বর্গা, লোহার পাইপ ও বাউ দিয়ে তাকেও পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে দরজার সামনে ফেলে দেয়।
এতে মাওলানা জেহাদির মাথা, চোখ, বাম হাতের আঙ্গুল ও তল পেটে মারাত্মক জখম হয়। তার স্ত্রীর হাত ভেঙে গেছে, মাথার খুলিতে পেছন দিকে লোহার রডের বাড়ীতে মাথা ফেটে প্রচূর রক্তক্ষরণ হয়েছে।
এই ঘটনায় বিশ্বনাথ থানায় মৌখিক অভিযোগ করা হলে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেন এবং ওসমানী হাসপাতালে গিয়ে মাওলানা জেহাদি এবং তাঁর স্ত্রীর খোঁজ খবর নেন।
এদিকে এলাকাবাসী প্রতিথযশা আলেম মাওলানা আব্দুল হাই জেহাদি ও তার স্ত্রীর উপর হামলার ঘটনায় গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। মাছ ধরার জন্য সামান্য জাল পাতানো নিয়ে কথা কাটাকাটির জের ধরে এমন জঘন্য সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে এলাকার মানুষের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
এদিকে, আব্দুল হাই জেহাদী ও তার স্ত্রীর উপর সন্ত্রাসী হামলার খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সর্বত্র নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় উঠছে। দেশ বিদেশে থেকে অনেকেই মাওলানা জেহাদী ও তার স্ত্রীর উপর সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানানোর পাশাপাশি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তসাপেক্ষ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের কাছে জোর দাবী জানান।
এ ব্যপারে বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) গাজী আতাউর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, একজন মুরব্বী আলেম ও তার স্ত্রীর উপর এমন হামলা জঘন্য ঘটনা। আমি খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে এবং হাসপাতালে গিয়ে তাদেরকে দেখে এসেছি।
তাদের উপর আঘাতগুলো গুরুতর। আমি লিখিত অভিযোগ দিতে বলেছি। অভিযোগ পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।